লাগাতার হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত বিঘের পর বিঘে আলু জমি , দুশ্চিন্তায় চাষীরা

28th January 2021 11:11 am বাঁকুড়া
লাগাতার হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত বিঘের পর বিঘে আলু জমি , দুশ্চিন্তায় চাষীরা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁঁকুড়া ) :  গত কয়েকদিন ধরে সোনামুখী জঙ্গলে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পঞ্চাশটি বুনো হাতির একটি দল । সন্ধ্যা হলেই হাতির দলটি লোকালয়ে প্রবেশ করছে এবং কৃষকদের ফসল নষ্ট করছে । পূর্ব নবাসন পঞ্চায়েতের শালদহ গ্রামে ধরা পরল সেরকমই ছবি । যেখানে দেখা যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা আলু জমি হাতির দল নষ্ট করেছে রীতিমতো মাথায় হাত পড়েছে আলুচাষিদের । স্থানীয় কৃষকরা বনদপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন । তাদের দাবি বনদপ্তর সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না যার কারণে হাতি লোকালয়ে প্রবেশ করে ফসলের এত ক্ষতি করছে । বাপ্পাদিত্য ঘোষ নামে এক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বলেন , এর আগেও বহুবার আমাদের ফসলের ক্ষতি করেছে হাতির দল কিন্তু আমরা কখনই আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাইনি । আবারো কয়েকদিন ধরে লাগাতার হাতির দলটি ফসলের ক্ষতি করছে বনদপ্তরের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটছে বলে তিনি জানান । তবে এবার তারা ফসলের ক্ষয়ক্ষতির দাবি জানিয়েছেন । সোনামুখী রেঞ্জ অফিসার দয়াল চক্রবর্তী জানান , যে সমস্ত চাষীদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেওয়া হবে । তবে বনদপ্তর সদা সতর্ক রয়েছে যাতে করে হাতিগুলোকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া যায় ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।